বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক :: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যা পরে হল শাখা ছাত্রলীগের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, মেসেঞ্জার গ্রুপে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক মেয়ের সঙ্গে তার ব্যাচমেটদের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইসিটি ডিপার্টমেন্টের ১৪ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের গালিব ও তার বন্ধু আবদুল্লাহ আল কাউসারকে মারধর করে। পরবর্তীতে গালিব ১৩ তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে নিয়ে আসে। এ খবর শুনে ঘটনাস্থলে বঙ্গবন্ধু হল ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী এসে হাজির হয়। যা পরবর্তী সময়ে বড় আকার ধারণ করে।
মারধরের শিকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল কাউসার (আপন) বলেন, ‘আমরা গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এ সময় দত্ত হলের কেমিস্ট্রি ১৪ ব্যাচের আলভীর ও আরেকজন আইসিটি ১৪ ব্যাচের তার নাম জানি না, আমাকে বলতেছে, ‘‘তুই নাকি ডিপার্টমেন্টে পাকনামি করস?’ ’ এ কথা বলে দুইটা থাপ্পড় মারছে।’
অভিযুক্ত আলভীর ভূঁইয়া বলেন, ‘আপনের সঙ্গে আমার ক্যাফেটেরিয়ার সামনে ধাক্কা লাগে। তখন তাকে কোন ব্যাচ জিজ্ঞেস করি। তারপর তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে, সে আমার শার্টের কলার ধরে। তারপর আমরা দুজন তাকে থাপ্পড় দিই। পরে বঙ্গবন্ধু হলের সেলিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে হাতাহাতি হয়।’
মেসেঞ্জার গ্রুপের সূত্র ধরে মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেন আলভীর।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে এসে এটিকে মীমাংসা করতে পার্টি অফিসে যান। পরে সেখানে দুই হলের নেতৃবৃন্দ বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। যা থেকে হলগুলোতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দত্ত হল ও বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা, রড, গাছপালার ডাল ও পরিত্যক্ত আসবাবপত্র ভেঙে হল থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্যত হয়। ওই সময় হল নেতৃত্ববৃন্দ তাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘ঘটনা কী কারণে হয়েছে এর কারণ এখনো জানা যায়নি। উত্তেজনা কমলে আমরা বসে বিচার করে মিটমাট করব।’
সম্প্রতি হল কেন্দ্রিক এ ধরনের কয়েকটি ঘটনা ঘটার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘হলগুলোর দায়িত্বে যারা আছে তারা হলের সবকিছু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হল ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেব।’
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। উভয় পক্ষকে শান্ত করে হলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি এ নিয়ে বসবে, কারও দোষ থাকলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’